সোনাগাছিতে দুর্গাপুজোর সময় কয়টি কনডম বিক্রি হয় তা জানলে বুঝবেন ব্যবসায় উন্নতি হচ্ছে।

Bangla boy: এবারের পুজোয় বাড়তি ভিড় দেখা গেছে সর্বত্র। কারণ, এ বছর করোনার মতো কোনো মহামারী নেই যা গত দুই বছর ধরে আছে। এমন পরিস্থিতিতে সোনাগাছিতেও ব্যবসায় জমে উঠেছে। করোনার কারণে ভাইরাসের বিস্তার এড়াতে সোনাগাছির ব্যবসাও বন্ধ ছিল। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবার সোনাগাছিতে ব্যবসার পরিমাণ বহুগুণ বেড়েছে।

শুধু তাই নয়, এ বছর সোনাগাছিতেও দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পূজার উদ্বোধন করেন একজন প্রবীণ যৌনকর্মী। যদিও পুজোর উদ্বোধনের সময় বেশ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শাসক দল ও রাজ্যের প্রবীণ রাজনীতিবিদ মদন মিত্র। এদিকে, এ বছর পুজোর সময় সোনাগাছি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একটি পরিসংখ্যান ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। যা থেকে স্পষ্ট যে যৌনকর্মী করোনা মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

ভারতের বিরোধিতা রাশিয়ার! ইউএনজিএ-তে পুতিনের প্রস্তাবে রাজি হয়নি নয়াদিল্লি, ইউক্রেনের পক্ষে ভোট!

প্রচারণায় যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই বিতর্কের সৃষ্টি! বলিউডে রাধিকার গোপন কাণ্ড ফাঁস

পুজোর সময় লক্ষ লক্ষ কনডম বিক্রি: এই প্রসঙ্গে, ঊষা কো-অপারেটিভ যৌনকর্মীদের এইচআইভি-এর মতো দুরারোগ্য রোগ থেকে রক্ষা করতে অর্ধেক দামে কনডম বিক্রি করে৷ এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি। রাজ্যের প্রায় ৩৭ হাজার যৌনকর্মী ইতিমধ্যেই এই ব্যাঙ্কের সদস্য। এমন পরিস্থিতিতে গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর সোনাগাছিতে ব্যবসার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে ঊষা সমবায় সূত্রে জানা গেছে।

সেই সঙ্গে আরও জানা গেছে, মহালয়ার দিন থেকে 12 তারিখ পর্যন্ত মোট 1 লাখ 27 হাজার 350টি কনডম বিক্রি হয়েছে। এমন অবস্থায় সুদিনের মুখ দেখতে পান যৌনকর্মীরা। এদিকে, সারা বছরই যৌনকর্মীদের সচেতন করতে আদালতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। এছাড়াও, সেই পরিসংখ্যানগুলি থেকে এটি স্পষ্ট যে সোনাগাছির যৌনকর্মীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন।

এই প্রসঙ্গে আদালতের এক সদস্য বলেন, “আমরা বিভিন্নভাবে প্রচার করি যাতে যৌনকর্মীরা কনডম ছাড়া কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক না করে। এছাড়াও, আমরা কনডমের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকি। এবং তাই সচেতনতা যৌন শিল্প ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *